সকল মানুষের জানা উচিত যে সে কী? কী তার বাস্তবতা? কে তার সৃষ্টিকর্তা? তার বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি কী? তার পরিচয় কীভাবে লাভ করা যায়, তার সৃষ্টিকর্তা কী উদ্দেশ্যে তাকে সৃষ্টি করেছেন?
সুতরাং মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য অর্জনের কী কী নিয়ম-নীতি আছে, যার উপর আমল করে উক্ত উদ্দেশ্য অর্জন করা যায় এবং কোন বস্তু তার প্রতিবন্ধক, যা বর্জন করে উদ্দেশ্য অর্জনে পূর্ণতা লাভ করা যায় তাও জেনে নেয়া আবশ্যক।
যদি একজন মানুষের উল্লিখিত বস্তুসমূহের জ্ঞান না থাকে, সে আদৌ মানুষরূপে জীবনযাপন করতে পারবে না এবং তার উদ্দেশ্যও অর্জন করতে পারবে না। কেননা মানুষ যখন তার বাস্তবতা, সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত না হবে, কখনো মনুষ্যত্বের নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধা করবে না বরং অন্য প্রাণীর মতো জীবনযাপন করবে। তারা হালাল-হারাম, চুরি-ডাকাতি, ধোঁকাবাজি ও খেয়ানত ইত্যাদিতে কোনো পার্থক্য করবে না। অন্য প্রাণীর মতো মহিলাদের সাথে কামভাব পূরণ করবে, বৈধ পদ্ধতিতে হোক বা অবৈধ পদ্ধতিতে, নিজের স্ত্রীর সাথে হোক বা অপরের বিবির সাথে- এমনকি মা-বোনেরও কোনো পার্থক্য থাকবে না। মানুষের মনুষ্যত্ব বিলোপ হলে পশুর মতো কাজ করাই স্বাভাবিক।
পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকারের প্রাণী রয়েছে। যেমন- বাঘ, সিংহ, গরু, গাধা, কুকুর, ও শূকর ইত্যাদি। মানুষ যখন তার মনুষ্যত্বের মৌলিক নীতি হারিয়ে ফেলে, তখন এ উত্তম চরিত্রের অধিকারী মানুষ জীবজন্তুর মতো আচরণ করে। কেউ সিংহ ও বাঘের মতো লুটতরাজে লিপ্ত হয়, কেউ গাধা-গরুর মতো খানাপিনা ও বোঝা বহনের ঝুঁকি নেয়। আর কেউ কুকুর-শূকরের মতো নিম্ন চরিত্রের অধিকারী হয়।

0 Comments